×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-১১
  • ৯১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ইথিওপিয়ার সংঘাতকবলিত তাইগ্রে অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। খবর বিবিসির।

ইথিওপিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইগ্রের প্রত্যন্ত একটি এলাকা থেকে সেভাট নেগা নামে অশীতিপর এই বিদ্রোহী নেতাকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাইগ্রে অঞ্চল শাসনকারী গোষ্ঠী টিপিএলএফের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে অভিযান শুরু করেছে ইথিওপিয়ার সরকার। ফেডারেল সেনাবাহিনী ও টিপিএলএফের মধ্যে লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ এবং সুদানে পালিয়ে গেছেন একদল শরণার্থী।

গত বৃহস্পতিবার ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, অভিযানে টিপিএলএফের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য নিহত বা গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছেন, টিপিএলএফের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা কেইরা ইব্রাহিম আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আঞ্চলিক পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ছিলেন।

জাতিসংঘ বলেছে, সরকারি সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে তাইগ্রেতে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এত গুরুতর যে সেখানকার ১৩ লাখ মানুষের ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। সংস্থাটি আরও বলেছে, এ অঞ্চলে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল ও বিভিন্ন অফিস লুট করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ঘোষণা করেন, সেনাবাহিনী যুদ্ধে জয় পেয়েছে। তবে টিপিএলএফের রাজনীতিবিদেরা বলছেন, তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাইগ্রেতে ফেডারেল সেনাদের কয়েকটি ফাঁড়িতে হামলার জের ধরে গত ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবি টিপিএলএফ মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন।

১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। ২০১৮ সালে আবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এ গোষ্ঠীর। তবে এরপর থেকে গোষ্ঠীটির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আবি তাঁদের এড়িয়ে চলেছেন। দেশের দুর্দশাময় পরিস্থিতির জন্যও আবি সরকারকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা। আর তখন থেকেই শুরু আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat