আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত নতুন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে। গত বুধবার দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ভারতের
রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) রবীন্দ্র কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রবীন্দ্র কুমার ভার্মা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী
এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত এ রেল পরিষেবা শুরু হচ্ছে। এটি হবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় রেল পরিষেবা।
এর আগে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল কলকাতা-ঢাকার মধ্যে। সেদিন চালু হয়েছিল ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন। এরপর ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় রেল পরিষেবা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়েছিল কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশে খুলনার মধ্যে। আর এবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে চালু হচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তৃতীয় যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা। তবে এখনও এ ট্রেন পরিষেবার নাম কী হবে, তা ঠিক হয়নি।
ডিআরএম আরও বলেছেন, এ নতুন পরিষেবায় নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে দুই দিন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায়। আর ঢাকা থেকে ছাড়বে মঙ্গল ও শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায়। যাত্রাপথে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। তবে এ পথের ভাড়া এখনও নির্ধারণ করা না হলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়, এসির ভাড়া ২ হাজার, চেয়ারকোচের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ এবং সিøপার ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০-এর কাছাকাছি থাকবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ভারতের অংশে রয়েছে ৮৪ কিলোমিটার। এ দীর্ঘপথে থাকছে উভয় দেশের ১৫ স্টেশন। তবে কোনো স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..