×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-০৭
  • ১২০৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তাল জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন। নিপীড়িত-শোষিত কোটি বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা, আর্তনাদ নিজের বুকে ধারণ করা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে উদ্ধত তর্জনী তুলে অত্যাচারী-শোষক পাকিস্তানি শাসকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'দাবায়ে রাখতে পারবা না।' শ্বাসরুদ্ধকর সেই সময়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে মুক্তি আর স্বাধীনতার মন্ত্র বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেছিলেন নির্ভয়চিত্তে, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'

সেই বজ্রনির্ঘোষ মুক্তিমন্ত্র উচ্চারণের আজ ৫০ বছর পূর্তি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে।

সেদিনের রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠেই রচিত হয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম কবিতা। সেই অমর কবিতার অজর পঙ্‌ক্তিমালা বিশ্বজুড়ে ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হয়েছিল দ্রুতগতিতে। ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম 'নিউজউইকে' এই ভাষণ উপলক্ষ করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা নিবন্ধের শিরোনাম হয়েছিল 'পোয়েট অব পলিটিক্স'। সে সময়ের বিশ্বনেতারাও বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বিশ্বের কোটি কোটি নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠের প্রতিধ্বনি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ 'স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো' কবিতায় রাজনীতির কবির অমর কাব্য রচনার বর্ণনা দিয়েছেন হৃদয়ছোঁয়া পঙ্‌ক্তিমালায়, "শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।/তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,/ হৃদয়ে লাগিল দোলা-/জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার, সকল দুয়ার খোলা-/কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি:/'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'/সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।"

বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি এখন বিশ্বের সম্পদ। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের বিশ্বঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে 'ডকুমেন্টারি হেরিটেজ' বা বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য, বাঙালির জন্য অনন্য গৌরবের অর্জন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সেই বিকেলে যারা সেই উত্তাল জনসমুদ্রে ছিলেন, সমকালকে তারা জানিয়েছেন- তাদের কাছে আজও সেই দিনটি জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। সেদিনের রক্তের শিহরণ আজও তাদের দোলা দেয়।

বিশ্বনন্দিত ভাষণ :বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কলজয়ী ভাষণকে বিশ্বনেতারা যুগে যুগে মূল্যায়ন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বনেতাদের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে মন্তব্য-বক্তব্য গণমাধ্যমে, নিবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে বলেছেন, '৭ মার্চের ভাষণ আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল দলিল।'

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ ৭ মার্চের ভাষণ মূল্যায়ন করে বলেছেন, 'পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে সজীব থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।'

কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ৭ মার্চের ভাষণের উল্লেখ করে নিজের বক্তব্যে বলেছেন, '৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধু একটি ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।'

যুগোস্লাভিয়ার কিংবদন্তি নেতা মার্শাল টিটো বলেছেন, '৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য হচ্ছে, এই ভাষণের মাধ্যমে শেখ মুজিব প্রমাণ করেছেন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানিদের কোনোরকম বৈধতা নেই। পূর্ব পাকিস্তান আসলে বাংলাদেশ।'

১৯৭৪ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শন ম্যাকব্রাইড বলেছেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন, কেবল ভৌগোলিক স্বাধীনতাই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন মানুষের মুক্তি ও বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। সাম্য ও সম্পদের বৈষম্য দূর করাই স্বাধীনতার সমার্থক ও সার্থকতা। আর এ সত্যের প্রকাশই ঘটেছে ৭ মার্চের ভাষণে।'

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মূল্যায়ন করে ১৯৭১ সালে ঢাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক বার্তায় লিখেছিলেন, 'রোববার ৭ মার্চ প্রদত্ত মুজিবের ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন, তার চেয়ে লক্ষণীয় হলো তিনি কী বলেননি। কেউ কেউ আশঙ্কা করছিলেন, আবার কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশকে সরাসরি স্বাধীন ঘোষণা করবেন। এর বদলে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।'

বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের সর্বকালের সেরা ভাষণগুলোর অন্যতম হিসেবে স্থান পেয়েছে। খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য ও ভাষণের একটি সংকলন প্রকাশ করেছেন। সেখানে মাও সে তুং, উইনস্টন চার্চিল, আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সেই বিকেলের প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে :আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচরদের অন্যতম আমির হোসেন আমু সমকালকে সেই বিকেলের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সেই শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা ছিল মুক্তিকামী ও স্বাধীনতাকামী বাঙালির জন্য অসাধারণ অনুপ্রেরণার। একই সঙ্গে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয়ও দেন ভাষণে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ভাষণের মূলত তিনটি দিক ছিল। ভাষণের প্রথম অংশে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের জুলুম, নির্যাতন, হত্যা এবং বাঙালির বঞ্চিত হওয়ার বিবরণ দেন। দ্বিতীয় অংশে তিনি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকার আদায়, শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না, সেটি স্পষ্ট করে দেন।

তৃতীয় অংশে তিনি বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন, পাকিস্তানিরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে; হত্যাও করতে পারে। এ জন্য তিনি ৭ মার্চের ভাষণে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন, 'আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো।' তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাড়ায় পাড়ায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিটের ভাষণে পুরো পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরে শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে, অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে মুক্তি আর স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এটাই ছিল তার অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয়।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যখন বললেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম', তখন সেই মুহূর্তে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ তখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখা গেছে, গুটিকয়েক রাজাকার, আলবদর, আলশামস ছাড়া দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শাশ্বত বিশ্বঐতিহ্য। এই ভাষণ যুগ যুগ ধরে বিশ্বের মানুষকে অধিকার আদায়ের মন্ত্রণা শিখিয়ে যাবে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।

সে সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও সিপিবির বর্তমান সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের দিকে তখন সবাই তাকিয়ে ছিল। ৩ মার্চের পর অবস্থাটা এমন ছিল যে বাংলার মানুষ চায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিন। আবার বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে সেই ঘোষণাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বে ভুল বার্তা দিয়ে দমন-নীতিকে জায়েজ করার সুযোগ নিতে পারে পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরে ঘোষণা দিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' এ ঘোষণায় বাঙালি স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য মন্ত্রণা-প্রেরণা পেয়ে গেল। কিন্তু পাকিস্তানিরা পরিস্থিতি বুঝলেও এ ভাষণকে নিজেদের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পেল না। এ জন্যই এই ভাষণ অনন্য, অবিস্মরণীয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এত অসাধারণ বক্তব্য দেওয়ার নজির আর নেই। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ সব সময়ই বাঙালির জীবনে প্রাসঙ্গিক। এর কারণ, এই ভাষণ স্বাধীনতা-সংগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিচারণকালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মঞ্চে উঠবেন এবং ঐতিহাসিক এ ভাষণে কী বলবেন, তা কেউ জানত না। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে যখন বলছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম', ঠিক সে সময়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। এত সুন্দর ও সাবলীলভাবে গুছিয়ে হৃদয় মাখানো কথাগুলো কোনো মানুষ বলতে পারে, তা তখন তার মনে হয়নি। শুধু মনে হয়েছে, কোনো 'মহাপুরুষ বা মহামানব' এ কথাগুলো বলছে।

৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ৬ মার্চ রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। এ যেন এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী পরিবেশ বিরাজ করছিল আগের দিন রাত থেকেই। পরদিন ৭ মার্চ লাখ লাখ বাঙালির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেবেন, তাতে বঙ্গবন্ধুর মধ্যে কোনো উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি। কোনো পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল না; তিনি ছিলেন একেবারেই স্বাভাবিক। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন; সহকর্মী ও ছাত্রনেতাদের পরামর্শও শুনেছেন। কিছুক্ষণ পরেই যে তিনি লাখ লাখ মানুষের সামনে ভাষণ দেবেন, তা আমাদের ভাবনায় ছিল না। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, এ সময় তার পেছনে দাঁড়ানো থাকাবস্থায় তার ভাষণ শুনে প্রায়ই শরীর শিউরে উঠছিল। ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আমি মুহূর্তেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ফলে মনের অজান্তেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলাম, যা নিজেই জানিনি। পরে ভাষণের ভিডিও দেখে বুঝেছি যে, লাখ লাখ জনতার সঙ্গে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সেদিন রেসকোর্স ময়দানে মেয়েদের জন্য আলাদা জায়গা ছিল। সেখানে বসেই তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি অক্ষর যেন জনসমুদ্রে স্ম্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধু যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটিই ছিল আসলে স্বাধীনতার ঘোষণা; সেটাও তারা বুঝে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে ওই ভাষণে ভীষণ অনুপ্রেরণাবোধ করেন আজও। আজও সেই ভাষণ শুনলে গা শিউরে ওঠে। ৭ মার্চের ভাষণ জনজীবনে প্রতিটি পর্যায়ে মুক্তির ডাক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন 'সাতই মার্চের বিকেলে'র ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat