ভোট গণনা চলছে তামিলনাড়ুতেও। ১০ বছর পর কি
ক্ষমতায় ফিরতে পারবে DMK? নাকি 'আম্মা'-র অবর্তমানে তামিলনাড়ুর মসনদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে AIADMK ? এম করুণানিধি ও জে জয়ললিতার মতো দুই হেভিওয়েট রাজনীতিকের অবর্তমানে এই
প্রথম এত বড় পরীক্ষার মুখে দাক্ষিণাত্যের এই দুটি বড় দল। এবার ফলাফলের পালা।
২০১৬ সালে জয়ললিতার মৃত্যুর পর একাধিক সমস্যার
মধ্যে দিয়ে যায় AIADMK। দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষমতার দাবিদার ছিলেন। শেষমেশ ই কে
পালানিস্বামী এবং ও পনিরসেলভম যথাক্রমে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী হন।
অন্যদিকে করুণানিধির মৃত্যুর পর দলের ক্ষমতার রাশ যায় পুত্র স্টালিনের হাতে। তবে AIADMK-র মতো সমস্যায় পড়তে হয়নি DMK-কে। কারণ,
জীবিত অবস্থাতেই ছেলেকে রাজনৈতিক তালিম দিয়ে রেখেছিলেন করণানিধি।
এদিকে AIADMK-তে অস্থিরতার জেরে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে
ভালো ফল করে DMK। সেই ধারা কি বিধানসভাতেও
বজায় থাকবে? সেটাই এখন দেখার।
তামিলনাড়ুর মোট
বিধানসভা আসন ২৩৪টি। ম্যাজিক ফিগার ১১৮। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই
মিলেছিলো পালাবদলের ইঙ্গিত। গণনায় স্পষ্ট ১৬০ থেকে ১৭২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসছে DMK
আর কংগ্রেস জোট। অন্যদিকে, ৫৮ থেকে ৭০টি
আসন পেতে পারে AIADMK ও বিজেপির জোট। অভিনেতা কমল হাসানের
মাক্কাল নিধি মইয়ম অর্থাৎ MNM জিততে পারে ২ থেকে ৪টি আসন। অন্যদিকে, শশীকলার দল আম্মা
মাক্কাল মুনেত্রা কজগম এর ঝুলিতে যেতে পারে ১ থেকে ৫টি আসন।
গণনা ঘিরে
ইতিমধ্যেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। শুক্রবার চেন্নাই পুলিশ কমিশনার মহেশ কুমার
আগরওয়াল এবং গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের কমিশনার প্রকাশ গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তা
ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এখানকার কেন্দ্রগুলিতে ১৯টি সিটের EVM রাখা আছে। নিরাপত্তার দেখভালে প্রায় ১ লক্ষ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছে।
শুধুমাত্র চেন্নাইয়ে থাকবে ২০০০০। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ১২০ জন
পুলিশকর্মী বিশিষ্ট একটি কুইক রিয়াকশন টিম। ১২ কোম্পানি সশস্ত্র রিজার্ভ পুলিশ
ছাড়াও থাকবে একটি সুইফট অ্যাকশন গ্রুপ। এছাড়াও তামিলনাড়ু স্পেশাল পুলিশের ১০
কোম্পানি। সেন্ট্রাল রিজিয়নে ৯ জেলায় ৪১টি কেন্দ্র রয়েছে। এবং ত্রিচি শহরে ৯টি।
এখানে গণনা ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোয়েম্বাটুরে ১০টি
আসনের গণনা প্রক্রিয়ায় নজর রাখা হবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে। এছাড়া ৮০ জন CAPF। মাদুরাইয়ে নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে ২০৫০
পুলিশকর্মী।