×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-৩০
  • ৯১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারতের আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের যাত্রা ৫০ বছর অতিক্রম করলেও এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গল্পটা বহু পুরোনো। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের নামটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকালীন সময় থেকে যুদ্ধকালীন পুরো সময়টাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে তারা যেভাবে দাঁড়িয়েছিলো তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরেই লিখা থাকবে। এর বাইরেও এই দুদেশের রয়েছে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। দুই দেশেরই ইতিহাস, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যগত আবেগ প্রায় সমরুপ এবং জীবন যাপনের সার্বিক বিষয়েই রয়েছে এক অনন্য মিল। বাংলাদেশ রাষ্ট্র স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে ২০২১ সালে। এই সুবর্ণজয়ন্তী একইসাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনও বটে! কেননা এই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরও যে অতিবাহিত হচ্ছে এবছরেই। এই সুদীর্ঘ সম্পর্কের যাত্রায় নানা চড়াই উৎরাই দেখেছে দুই দেশ, দেখেছে মনোমালিন্য বা প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মাত্রাও। দুই দেশের মাঝে হয়েছে নানা চুক্তি, হয়েছে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। প্রতিটি ঘটনায় নানাজন নানাভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে দুই দেশের সরকারপ্রধানকে। এতোকিছুর মাঝেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ।

(১)

বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ তত্কালীন বাংলাদেশের সরকার প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ২৫ বছর মেয়াদি স্বাক্ষরিত মৈত্রী চুক্তিকেই ইতিহাসে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়। এটি ১৯৭৪ সালের ১৬ মে নয়াদিল্লীতে সম্পাদিত হয়। এই চুক্তির অন্যতম বিষয় ছিল সমঝোতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্থল-সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন করা। এই চুক্তিটি দুই দেশের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব, আন্তরিক মনোভাব ও পারস্পরিক বিশ্বাস, আর সবার ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীএ দুজন মহান রাষ্ট্রনায়কের শান্তি ও সম্প্রীতির অন্তর্দৃষ্টির প্রতীকএই চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরোধীরা সমালোচনা করেছে, এই চুক্তিকে গোলামী চুক্তি, দাসত্বের চুক্তি হিসেবেও বিরোধীরা মন্তব্য করেছে। কিন্তু দিনশেষে দেখা গিয়েছে এই চুক্তির আলোকেই ২০১৫ সালের পহেলা আগস্ট ঐতিহাসিক ছিটমহল বিনিময় চুক্তি আলোর মুখ দেখেছে। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নাগরিকহীন পরিচয়ে বেঁচে থাকা মানুষ ফিরে পেয়েছে নিজের ভূখন্ড, নিজস্ব পরিচয়। আর তা সম্ভব হয়েছে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির কারণেই।

(২)

মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা হলেও ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কাপুরুষোচিতভাবে সপরিবারে হত্যার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটে।  জিয়াউর রহমান ও এরশাদের স্বৈরশাসনের ১৫ বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি। ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ফিরলেও তেমন কোন অগ্রগতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে এসে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা নেয়। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর গঙ্গা নদীর পানিবন্টন চুক্তির স্বাক্ষরের মাধ্যমে দীর্ঘ ২১ বছরের অচলাবস্থা কাটায় দুই দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া ত্রিশ বছর মেয়াদী এই চুক্তি সই করেন। ভারত পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা বাঁধ নির্মানের কারণে ভাটিরদেশ বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়ায় যে সংকট তৈরি হচ্ছিল, তা থেকে মুক্তির জন্যই এই চুক্তিটি করা হয়।

(৩)

২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর আবারো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ছেদ পরে। পাকিস্তানের সহায়তায় বাংলাদেশে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে আসতে থাকে। সেভেন সিস্টার্স রাজ্যসমূহে অস্থিরতা তৈরির লক্ষ্যে তৎকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দশ ট্রাক অস্ত্র চালানের মতো ঘটনা ঘটায়। যদিও শেষত সেই অস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে পৌঁছেনি। এভাবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একদম তলানীতে গিয়ে ঠেকে। বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে দুই দেশ উল্লেখযোগ্য কোন চুক্তি বা সমাধায় যেতে পারেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দুই দেশের বন্ধুতা যেনো এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার একবছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ভারত সফরে যান৷ সেসময় ১০০ কোটি ডলারের এলওসি বা ঋণরেখা অনুমোদন করে ভারত৷ এই অর্থে জনপরিবহন, সড়ক, রেলপথ সেতু আর অভ্যন্তরীন নৌপথের ১৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি হয়৷বর্তমানে ধাপে ধাপে ১০০ কোটি ডলার ঋণ ও ১৪ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে দু দেশ। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর আগে এতো ঋণ ভারত বাংলাদেশকে দেয়নি। তাই এই ঋণ দেয়ার মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং বিশ্বকে এক ভিন্ন বার্তা দেয়।

(৪)

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়৷ ২০১১ সালের ১৩ই জানুয়ারি তা কার্যকর হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশের নাগরিক অন্য দেশে সাজাপ্রাপ্ত হলে তাকে অনুরোধক্রমে ফেরত পাঠাতে পারবে৷ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যকর হয় ভারত ও বাংলাদেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তি, যার আওতায় দুই দেশ ফৌজদারী মামলায় বিচারাধীন বা দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বিনিময় করার সুযোগ পায়। তবে কোন দন্ডপ্রাপ্ত বা সাজাভোগকারী আসামীকে সাজার মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে যদি বাংলাদেশে আনা হয় তবে সেই সাজার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাজা ভোগ করতে হবে।

(৫)

গত দশকের সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রশংসিত কাজ হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়। হাসিনা-মোদী সরকার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন কেবল এই কাজের মধ্য দিয়েই। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারত-বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হয়৷ যার মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাইতে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ছিটমহল বিনিময় হয়৷ ভারতের ১১১টি ছিটমহল যুক্ত হয় বাংলাদেশের সাথে৷ একইভাবে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলও হয়ে যায় ভারতের অংশ৷ ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত, বাংলাদেশ-ভারত এর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মুহুর্তদীর্ঘ ৬৮ বছর শোষণ, নির্যাতন এবং পরিচয়হীন এক জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতার আনন্দে উজ্জীবিত করার দিন। সীমান্ত পাড়ের মানুষগুলো জানতোও না যে, পহেলা আগষ্টের সূর্যোদয় তাদের জন্য কী সীমাহীন আনন্দ বার্তা নিয়ে আসছে, তাদের পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করতে যাচ্ছে। ৩১ জুলাই মধ্যরাত, বহু প্রতীক্ষার পরে দুই দেশের মধ্যে বিনিময় হয় ছিটমহল। আর প্রতিবেশী দুই দেশের ছিটমহলবাসীরা ফিরে পায় এক নতুন জীবন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, ছিটমহলবাসীর মধ্যরাতের এই স্বাধীনতা ভারত-বাংলাদেশ এর বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের এক নবদ্বার উন্মুক্ত করেছে।

(৬)

অর্থনৈতিক ট্রানজিট নিয়েও দুদেশের মধ্যে শীতল একটা সম্পর্ক চলছিলো, অবশেষে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুনভাবে মোড় নেয়। দুই দেশের মধ্যে হওয়া বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী এক দেশ আরেক দেশের জল, স্থল ও রেলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য ট্রানজিটের সুবিধা নিতে পারে৷ ২০১৬ সালে মাশুলের বিনিময়ে ভারতকে আশুগঞ্জ নৌ বন্দর দিয়ে বহুমাত্রিক ট্রানজিট সুবিধা দেয় বাংলাদেশ৷ সড়কপথে ট্রানজিট দিতে ২০১৫ সালে আখাউড়া অগরতলা সীমান্ত দিয়ে পরীক্ষামূলক চালান পাঠানো হয় শুধু আর্থিকভাবে নয়, দীর্ঘ মেয়াদেও লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই ট্রানজিটের মাধ্যমে। তবে উভয় দেশকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেনো সন্ত্রাসীদের চারণভূমি না হয়ে উঠে এই ট্রানজিট করিডোর।

(৭)

এখন কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে৷ ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এ বিষয়ক একটি চুক্তি হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী এজন্য দুই দেশকে তাদের অংশের রেলপথ নির্মাণ করতে হবে৷এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। দুই দেশ খুব গুরুত্বের সাথে কানেক্টিভিটির জায়গাকে সমৃদ্ধ করছে। শুধু পদ্মাসেতুর এ রেল প্রকল্প নয় কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি ফেনী নদীর উপরেও মৈত্রী সেতু স্থাপনের মাধ্যমে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারত-বাংলাদেশ। এই মৈত্রী সেতুকে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন বাণিজ্য করিডোর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সেতু একইসাথে আন্তঃ বাণিজ্যের যেমন সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে এক বিশাল প্রভাব ফেলছে। আবার নতুন খবর এসেছে, এবার ঢাকা থেকে আসা যাবে কলকাতা, সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই হতে চলেছে। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র বছর তিনেক। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালুর পর ঢাকা-কলকাতার যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে। এখন যেখানে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে তিন বছর পর সেখানে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছানো যাবে। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই দেশ যোগাযোগে অনেক উন্নতি সাধন করছে।

(৮)

হাসিনা-মোদী সরকার সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য খাত, উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো, অবকাঠামো খাতসহ সর্বদিক থেকেই সম্পর্কের নবযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধু দুদেশের সরকারের মধ্যকার সম্পর্ক হয়ে এক গন্ডির মধ্যে থাকলে হবেনা বরং বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে একটা একীভূত শক্তি হয়ে চলার মানসিকতা বৃদ্ধি করতে হবে। দুদেশের জনগণের আকাঙ্খা পূরণে একসঙ্গে এগিয়ে চলার প্রচুর সুযোগ রয়েছে, সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, যেকোন দেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করতে হবে। যেহেতু ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ তাই নানা ইস্যুতে দুই দেশের মতপার্থক্য থাকবে আর তা কাটিয়ে উঠতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ধরে রেখে আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুত অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসা করবে দুদেশ। জয় হোক বন্ধুত্বের, জয় হোক ভারত-বাংলাদেশের। 


-হাসান ইবনে হামিদ,

রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat