×
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০৯
  • ২৩৩৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মান প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু। দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে সেতুটির মাধ্যমে।
আর মাত্র ১ টি স্প্যান বসানোর পর বাংলাদেশের পদ্মা জয় দেখবে বিশ্বে। কোন রূপ জটিলতা দেখা না দিলে ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বসবে সেতুর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি । দৃশ্যমান হবে পুরো সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার । এ যেন বিজয় দিবসের ৫দিন আগেই আরেকটি বিজয় বাংলার মানুষকে উপহার দিলেন বঙ্গবন্ধ শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার বিজয়ের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মজিবুর রহমান আর ১০ ডিসেম্বর পদ্মা বিজয় নেতৃত্ব তারই কন্যা।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের মাঝ নদীতে ১২ থেকে ১৩নং পিয়ারের উপর ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানো হবে। আজ সকাল ৯টা থেকে স্প্যানটি পিয়ারের নিকট নেওয়ার জন্য কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। সেতুর পিয়ারের উপর স্প্যান বসানোর জন্য নিয়ে যেতে ক্রেনও অপেক্ষায় কিন্তু বাদ সেধেছে ঘন কুয়াশা তারপরও আশা করা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার নাগাদ স্প্যান বসানো যাবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা জানান।
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, স্প্যান পিয়ারের উপর বসানোর যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ যাত্রা শুরুর অপেক্ষা কুয়াশার কারনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যানটি বসানো যাবে কিনা নিশ্চিত নয়। তবে অপেক্ষা শুধু কুয়াশা কেটে যাওয়া।
নানামুখী চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে সবগুলো স্প্যান বসানো যাচ্ছে। সর্বশেষ স্প্যান তাই স্প্যানের দুই পাশে বাংলাদেশ আর চীনের পতাকা সহ সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তাও রয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১১ থেকে ১২ নং পিয়ারের উপর ৪০ তম স্প্যানটি বসানো হয়।
৪১তম স্প্যান বসানোর পর বাকি থাকবে আংশিক এপ্রোচ রোড, রোডওয়ে স্লাব ও রেলওয়ে স্লাব স্থাপনের কাজ। মোট ২৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১২৮৫টি আর রেলওয়ে স্লাব ২৯৬৫টির মধ্যে বসানো হয়েছে ১৯৫৯টি। তবে বাকি স্লাবগুলো স্থাপনের জন্য অধিকাংশই প্রস্তুত করে রাখা আছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি), পদ্ম সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) আর নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat