দীর্ঘদিন ধরে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করে আজ ছুটি নিচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন 'তিয়ান-ই'। এই ক্রেনটি কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে কাঙ্ক্ষিত পিয়ারের কাছে স্প্যান বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং পিয়ারে স্প্যান উঠানোর কাজ করতো । তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার তিয়ান-ই পদ্মা সেতুর সব স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে পিয়ারে উঠিয়েছে। প্রমত্ত পদ্মার বুকে বসিয়েছে একেকটি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, তিয়ান-ই একটি কম্পিউটার অপারেটেড ভাসমান ক্রেন। এখানে ম্যানুয়ালি কিছু করা হয় না। তাই এটিকে অটোমেশিনও বলা যায়। চীন থেকে ঠিকাদার কোম্পানির ভাড়া করে আনা তিয়ান-ই পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান পিয়ারে উঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রায় ২০ বছর আগে নির্মিত তিয়ান-ই'র ভাড়াসহ ব্যবস্থাপনা খরচ প্রতি মাসে ৩০ লাখ টাকা। চীন থেকে প্রায় দেড় মাস সময় নিয়ে জলপথে এটিকে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। শেষ স্প্যান ওঠানোর পরপরই এটি চীনের উদ্দেশে ফেরত যাবে।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় ৪১তম স্প্যান (২-এফ)। ফলে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর পুরোটই দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যানটি। সেতুর মোট পিলার ৪২টি এবং এতে স্প্যান বসানো হয় ৪১টি।
এ জাতীয় আরো খবর..