×
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৪
  • ১১৮৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদ ছিলেন অনবদ্য সুরের জাদুকর। একুশের গান হিসেবে খ্যাত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানের সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদ। 
১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার পাতারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই ব্যক্তিত্ব। ১৯৪৮ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে তিনি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করে ভর্তি হন বিএম কলেজে। পরে তিনি চিত্রকলা শিখতে ক্যালকাটা আর্টস স্কুলে যান। প্রসিদ্ধ ভায়োলিন বাদক সুরেন রায়ের কাছে প্রথম সঙ্গীতে তালিম নিয়ে তিনি গণসঙ্গীত গাইতে শুরু করেন এবং প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৫০ সালের দিকে তিনি ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গণসঙ্গীত গাইতেন। গান গাওয়ার মাধ্যমে মাহমুদ এই আন্দোলনকে সর্বদাই সমর্থন যুগিয়েছেন। ১৯৫৩ সালের প্রভাত ফেরীতে আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ শিরোনামের আলোড়ন সৃষ্টিকারী গানটি প্রথম আলতাফ মাহমুদের সুরে গাওয়া হয়। ধরে নেওয়া হয় ১৯৫২ সালের শেষদিকে তিনি একুশের গানের সুর দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৬৯ সালে জীবন থেকে নেওয়া চলচ্চিত্রের জন্য একুশের গানের শুরুতে হামিং সংযোজন করেন আলতাফ মাহমুদ।
১৯৭১ সালে আলতাফ মাহমুদ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তাঁর ঢাকার রাজারবাগের আউটার সার্কুলার রোডের নিজ বাসায় গোপন ক্যাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু ক্যাম্পের কথা ফাঁস হয়ে গেলে ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট বাসা থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় তাঁকে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হাতের আংটিটি তাঁর শ্যালকে দিয়ে বললেন “এটা ঝিনুক ও শাওনকে দিয়, ওদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারলাম না, দেশের মানুষ আছে ওদের জন্য।“ পরবর্তীতে আর খোঁজ মিলেনি তাঁর। আজও সবার অজানা কী নির্মমতা ঘটেছিল তাঁর ভাগ্যে। 
এমনি টুকরো টুকরো বীরত্ব গাঁথা আর ৩০ লক্ষের রক্ত ঋণে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat