×
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১১
  • ১০৫৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সকল বাধা-বিপত্তির পাশ কাটিয়ে অবশেষে সংযোগ ঘটেছে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের। বসেছে স্বপ্নের সেতুর ৪১তম ও শেষ স্প্যানটি। এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে পদ্মার পাড়ে যে বিপুল কর্মযজ্ঞের সূচনা হয়েছিল, তা পূর্ণ অবয়ব পাওয়ায় আজ সারাদিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাসে ভেসেছে বাংলাদেশের জনগন। মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয় পুরো সেতু দৃশ্যমান হওয়ার বিভিন্ন ছবি। এসব ছবি শেয়ার করে নানা মন্তব্য ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন সবাই।  
তরুণ প্রজন্মের লেখক মারুফ রসুল তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমার কাছে ৫০ বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো বাঙলাদেশের সক্ষমতার এক অনিন্দ্য স্মারক হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। মুক্তিযুদ্ধের পর একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে নিয়ে তৎকালীন দাতাগোষ্ঠী যে জঘন্য রাজনৈতিক খেলায় মেতেছিলো, বাঙলাদেশ আজ তার একটি পাল্টা জবাব প্রতিষ্ঠা করলো।’’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব লিখেছেন,  ‘‘পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। একটির পর একটি স্প্যানে দৃশ্যমান এখন সেতুটির প্রায় পুরোটাই। যে পদ্মার একদিন ছিলো না কূল-কিনারা, আজ হেঁটেই পার হওয়া যায় প্রমত্তা সেই নদী- কী শীত, কী বর্ষায়। সামনের বছর শেষে পদ্মার বুকের উপর দিয়ে ছুটবে গাড়ি, চলবে ট্রেন। পদ্মা সেতু শুধু একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়, যেমন এটি নয় শুধু একটি জাতির সক্ষমতার প্রতীক। এটি তার চেয়েও ঢের বেশি কিছু।’’
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, ‘‘পুরো কাঠামো দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কি.মি আজ দৃশ্যমান হলো। নিজেদের টাকায় এত বড় সেতু নির্মাণ যেনো বাংলাদেশের আরেক বিজয়। সাবাস বাংলাদেশ! সাবাস শেখ হাসিনা! অন্য অনেক বিষয়ে যে যতো সমালোচনাই করি এই সাহস, এই বিজয়ের নেতা আপনি। আপনাকে অভিনন্দন।’’
সৈয়দ নাজমুল হুসাইন লিখেছেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে অকল্পনীয় একটি মেগা প্রজেক্ট, তাও আবার নিজস্ব অর্থায়নে; অদম্য সাহস ও প্রাণপণ প্রতিজ্ঞা এর উজ্জলতম উদাহরণ হয়ে থাকবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’’
মাহমুদুল হক জালীস নামে একজন লিখেছেন, ‘‘এমন আনন্দের সময় - উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকার ভাস্কর্য আর মূর্তির উত্তাপ না ছড়ালে পদ্মার এই সফলতার আনন্দ আরো সার্বজনীনভাবে ছড়িয়ে পড়তো। বাংলার ঘরে ঘরে খুশির রোল পড়তো। এযেন ৭১রের পরে নতুন আর এক বিজয়! তবুও ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। ঘৃণা পদ্মা সেতু নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে এবং কুৎসা রটিয়েছে তাদের প্রতি।’’
মাহমুদ সেলিম নামে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তার দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘এটা শুধু একটা সেতু হিসেবে খ্যাত নয়! এটা কোটি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করা। এটা একটি 
দেশের অর্থনীতিকে সফলতার শিখরে পৌছে দেয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।এখন আর কারো সন্তান/পিতা-মাতা/ভাই-বোনকে যাতায়াতের কারনে প্রাণ হারাতে হবেনা,এখন আর কেউ বলবে না কুয়াশার জন্যে ফেরী চলেনা বিঁধায় বাড়ি যেতে পারেনা।বর্ষায় বাড়ি যেতে আর কেউ ভয় পাবেনা।’’    
এমনকি সরকারের ঘোরতর বিরোধী আসিফ নজরুল তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার কিছু জিনিষ অপছন্দ করি। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মানে তার দৃঢ়তা ও সাফল্যে মুগ্ধ আমি। দেশের জন্য অনেক বড় কাজ হলো এটা। অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী আপনাকে।’’
ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে অদম্য সাহস ও বিচক্ষনতার সাথে এমন অকল্পনীয় একটি মেগা প্রজেক্ট নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সবাই। অধিকাংশের মন্তব্য, উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat