×
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০৬
  • ২১৩২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের রক্ত সূর্য খচিত গাঢ় সবুজ পতাকা।১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল যশোর জেলা। এদিন বিকেলে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। ফলে দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা হয় যশোর।

মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ এবং মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধে আক্রমণে টিকতে না পেরে যশোর সেনানিবাস থেকে খুলনায় পালিয়ে যায় পাকসেনারা। যশোরের মাটিতে উড়ানো হয় বিজয়ের প্রথম পতাকা। মানুষের গগনবিদারি ‘জয়বাংলা স্লোগান’ প্রকম্পিত করে আকাশ-বাতাস। হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তির আনন্দে শামিল হতে। পাকহানাদারমুক্ত প্রকৃতির নির্মল বাতাসে শ্বাস নিতে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মুক্ত শহরে ওড়ে স্বাধীন দেশের পতাকা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সামরিক সেক্টরের মধ্যে যশোর ছিল ৮ নম্বর সেক্টর। মূলত বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়া জেলা, ফরিদপুর ও খুলনা জেলার কিছু অংশ ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের আওতায়। এর সদর দফতর ছিল যশোরের বেনাপোলে। এ সেক্টরের প্রথম কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। আগস্ট মাস থেকে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন মেজর এমএ মঞ্জুর। তার অধীনে ছিলেন ক্যাপ্টেন আবু ওসমান চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদা। এ সেক্টরের অধীনে মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)। এ বাহিনীর প্রধান ছিলেন আলী হোসেন মনি এবং ডেপুটি প্রধান ছিলেন রবিউল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat